কিছুতেই থামছে না ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলমান সহিংসতা। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে কোয়াকতা ও কংভাই এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেশকিছু বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এনডিটিভির খবরে জানানো হয়েছে, রাজ্যের থংজুর কাছে শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে জড়ো হয় ২০০ থেকে ৩০০ জন, যারা স্থানীয় বিধায়কের বাসভবনে নাশকতা হামলার চেষ্টা করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

মণিপুর ইউনিভার্সিটির কাছেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে থংজু’র কাছে ২০০-৩০০ লোক জড়ো হয়। তারা স্থানীয় বিধায়কের বাসভবন ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পুলিশ এসে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিক্ষুব্ধদের অন্য একটি দল শুক্রবার রাতে ইরিংবাম থানার অস্ত্রাগার ভাংচুরের চেষ্টা করে। মধ্যরাতে ইম্ফল পশ্চিমে রাজ্য বিজেপি সভাপতি অধিকারীমায়ুম শারদা দেবীর বাসভবনেও ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়। তবে সেনাবাহিনী এবং আরএএফ তা প্রতিরোধ করে।

এদিকে সেনা সূত্রে জানা গেছে, ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি দল সিনজেমাইতে মধ্যরাতের একটু পর বিজেপি অফিস ঘেরাও করে। পরে সেনাবাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মণিপুরে প্রধানত সংখ্যাগুরু হিন্দু ধর্মানুসারী মেইতেই গোষ্ঠীকে তপসিলি উপজাতি বা এসটি তালিকাভুক্ত করার বিরোধিতা করছে খ্রিষ্ট ধর্মানুসারী কুকিরা। গত ৩ মে ভারতের হাইকোর্ট মেইতেইদের তপসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করতে বলার পর রাজ্যটিতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা গত কয়েকদিন ধরে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এখন রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তিকে টার্গেট করছে বিক্ষুব্ধরা। কেন্দ্র যদিও একটি শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে রাজ্যটিতে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক।